বজ্রপ্রাণের নামকরণ করা হয়েছে এর যুগোপযোগী
ব্যবহার ও দর্শনগত পার্থক্যের কারণে। অন্যান্য ব্যায়ামের সঙ্গে বজ্রপ্রাণের পার্থক্য
হচ্ছে এটি পুরো শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। দুই ধরনের বজ্রপ্রাণ চর্চা
করা হয়। স্থির ও চলন বজ্রপ্রাণ।
স্থির বজ্রপ্রাণ অনুশীলনে যোগব্যায়ামের সঙ্গে সাদৃশ্য
রয়েছে। তবে নামকরণের ক্ষেত্রে যুগোপযোগী পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে যোগ ব্যায়ামের
বিভিন্ন আসনের নামে বিভিন্ন প্রাণীর নামের পরিবর্তে আসনগুলোর যুগোপযোগী নামকরণ করা
হয়েছে।
মানুষ শক্তি অর্জন করবে বীরের মতো। সিংহ
কিংবা অন্যান্য পশুর মতো নয়। মানবিক সমাজ গঠনে দরকার দৃঢ় মনোবল ও অফুরন্ত প্রাণশক্তির।
নিয়মিত বজ্রপ্রাণ অনুশীলনের মাধ্যমে তা অর্জন করা যায়। চলন বজ্রপ্রাণ শুধু প্রাণায়ামেই
সীমাবদ্ধ নয়। এর সঙ্গে রয়েছে দেহমনের সংযোগ স্থাপনের এক কার্যকর প্রক্রিয়া। অখণ্ড মনোযোগ
স্থাপনের মাধ্যমে অনুশীলনকারী ধাপে ধাপে নিজেকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্পৃহা
অর্জন করেন।
No comments:
Post a Comment