Friday, February 12, 2016

ডিপ ব্রিদিং ইফেক্ট:



গভীর দম চর্চার উপকারিতা অনেক। আমরা স্বাভাবিক নি:শ্বাস গ্রহণের মাধ্যমে সাধারণত ফুসফুসের ২০ভাগ ব্যবহার করি। অনেকে করি তার চেয়েও কম। এতে শরীর পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ বিঘ্ন হয়। আর তাতেই আমরা স্বাভাবিক জীবনযাপনে হাঁপিয়ে উঠি।
শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহের অভাবে স্বাভাবিক কার্যক্রমে সাময়িক ছন্দপতন হয়। আর তাকেই আমরা বলি অসুস্থতা। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে অনেকের ক্ষেত্রে তা দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় রূপ নিতে পারে। এজন্য দরকার সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ। গভীর দমচর্চা শরীরের প্রতিটি অঙ্গের কার্যক্রমকে সুসংহত করে। এমনকি প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিও এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন। 

কীভাবে করবেন:
এটা চর্চা করা খুবই সহজ। যে কেউ এটা চর্চা করতে পারেন।এজন্য বিশেষ স্থান কিংবা পোশাকের প্রয়োজন নেই। শুধু ইচ্ছা থাকলেই যে কেউ এটা চর্চা করতে পারেন। আর তখন দেহ মনে অনুভব করবেন অনাবিল প্রশান্তি।অনিন্দ্রা, পেশির বিভিন্ন ধরনের ব্যাথা সবই আপনার কাছ থেকে পালাতে শুরু করবে।
শুরু করুন এখনই---
গভীর ভাবে নাক দিয়ে দম নিন। মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন। বুক ভরে দম নিন। দম নেওয়ার সময় ভাবুন ফুসফুসে অনেকগুলো ছোট ছোট বেলুনে বায়ূ প্রবেশ করছে। প্রকৃতি থেকে আপনি বেঁচে থাকার অন্যতম জ্বালানি অক্সিজেন সচেতনভাবে নিজের শরীরে গ্রহণ করছেন। দম নেওয়ার চেয়ে দম ছাড়তে দম ছাড়তে একটু বেশি সময় দিন। এভাবে ৭-১০ বার চর্চা করুন।
দম নেওয়া ও ছাড়ার সময় খেয়াল রাখুন কোন নাক দিয়ে আপনার দম বেশি প্রবাহিত হচ্ছে। ডান নাক দিয়ে নাকি বাম পাশের নাক দিয়ে। ডাক নাক দিয়ে যদি আপনার শ্বাস প্রশ্বাস প্রক্রিয়া বেশি হয় তবে তখন বুঝবেন আপনার মধ্যে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করছে। সৃজনশীল চিন্তাভাবনায় সহজেই মনোনিবেশ করতে পারছেন। একেক সময় আমাদের নাকের একেক পাশ বেশি সক্রিয় থাকে। গভীর দম চর্চার মাধ্যমে এ বিষয়টিও অবলোকন করে দেখতে পারেন। 

No comments:

Post a Comment